জীবনের খারাপ পরিস্থিতিতে কিভাবে নিজেকে Positive রাখবে - How to become Positive in Negative situation ??
Breathe in and out!!....... Breathe
in and out!!....... Breathe in and out!!..
জীবনে এমন অনেক পরিস্থিতি আসে যখন আমাদের
ভেঙ্গে পরলে চলে না। নিজেকে শক্ত রেখে এগিয়ে যেতে হয়। কারন সময় কারোর জন্য থেমে থাকে
না। “Time
and Tide wait for none” – আশা করি এই লাইনটা শুনেছ। তাই
কোন দিকে না তাকিয়ে নিজের জীবনে এগিয়ে
যাওয়াই বুদ্ধিমত্তা র পরিচয়।
যখন তোমার সাথে খারাপ কিছু ঘটে , তখন খুব
খারাপ খারাপ চিন্তা তোমাকে গ্রাস করে।তখন তুমি যে কাজই করো , ভালো করে করতে পারনা।
সব সময় সেই কথাটাই তোমার মাথায় ঘোরে।তাই তোমাকে প্রথমে সেই সমস্যা থেকে নিজেকে বার
করে আনতে হবে। না হলে কোনও কাজে মন বসাতে পারবে না।
আমরা এখানে এমন কিছু পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করবো
যেগুলো তোমাকে খারাপ পরিস্থিতি থেকে নিজেকে বের করতে সাহায্য করবে তোমার চিন্তা ধারা
কে Positive করবে :
১) যে কারনে তুমি ভেঙ্গে পরেছ সেটা নিয়ে ভাবা
বন্ধ কর,
২) দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাও ওই সমস্যা কে Problem
না ভেবে Challenge হিসাবে গ্রহণ করতে শেখ,
৩) খারাপ চিন্তা র মাঝে ,যদি একটাও ভালো খেয়াল
আসে সেটাকে বেশি গুরুত্ব দাও,
৪) সেটা কর যেটা তোমাকে আনান্দ দেয়,
৫) লোকের কথায় কান না দিয়ে তোমার যেটা মনে
হচ্ছে সেটা কর,
৬) গান শোনো, বাইরে থেকে ঘুরে আস, ভাল ভাল খাওার
খাও, তোমার Hobby কে টাইম দাও,
৭) বই পর, সমস্যা কে ডায়েরি তে লিখে ফেল , বন্ধুদের
সাথে কথা বল ইত্যাদি।
এবার
আমরা বিস্তারিত ভাবে জানি বিষয় গুলোকেঃ
১)যে কারনে
তুমি ভেঙ্গে পরেছ সেটা নিয়ে ভাবা বন্ধ কর à
তোমার
সাথে খুবই খারপ কিছু ঘটেছে যেটা ভোলা হয়তো
সম্ভব না কিন্তু তাও তোমাকে সেটা নিয়ে ভাবা
বন্ধ করতে হবে।তুমি যত ভাববে তত তুমি depression এ যাবে।দেখ যেটা হয়ে গেছে সেটা তুমি পাল্টাতে পারবে না ,কিন্তু ওই কথাটা ভেবে
তুমি তোমার বর্তমান ও ভবিষ্যৎ দুই খারাপ করছ ,সেটার মানে তুমি নিজের সাথে নিজে খারাপ
করছ । সেটা বন্ধ করতে হবে তোমাকে।
২) দৃষ্টিভঙ্গি
পাল্টাও ওই সমস্যা কে Problem না ভেবে Challenge
হিসাবে গ্রহণ করতে শেখ à
তোমার
সাথে যে ঘটনা ঘটেছে সেটাকে problem না ভেবে challenge ভাবতে শেখ ।মনে কর যে ভুল টা হয়েছে সেটা যেন আর কখন না হয়। আর
এটাই তোমার কাছে challenge যে সব ভুলে
গিয়ে একটা নতুন সুচনা। ঠিক যেমনটা লবন ছাড়া রান্না তে স্বাদ আসেনা তেমন জীবন অতিবাহিত
করার জন্য এসব challenge আশাটা অস্বাভাবিক
কিছু নয়। তুমি পারবে …।।চেষ্টা কর অবশ্যই পারবে
তুমি আই খারাপ পরিস্থিতি থেকে নিজেকে বার করতে।
৩) খারাপ চিন্তা র মাঝে ,যদি একটাও ভালো খেয়াল আসে সেটাকে
বেশি গুরুত্ব দাও à
ভগবান
সবার জন্য কিছু না কিছু প্ল্যান তৈরি করে রাখেন।তিনি আমাদেরকে সমস্যা দেন এবং সেই সমস্যা থেকে তিনিই আমাদের বের হওয়ার পথ বলে দেন।তাই যখন
খারাপ পরিস্থিতি মধ্য দিয়ে অতিক্রান্তত হই আমরা আমাদের ভাল চিন্তা গুলকে গুরুত্ব দি
না আসলে ওই ভাল চিন্তাই হল সেই সমস্যা থেকে বের হয়ার পথ।তাই আমাদের খারাপ Situation থেকে বের হতে গেলে ওই ভাল চিন্তাকে
গুরুত্ব দিতে শুরু করতে হবে।
৪) সেটা কর
যেটা তোমাকে আনান্দ দেয় à
যখন তোমার মন খারাপ থাকে তখন সেই কাজটা করো যেটা তোমাকে সব থেকে বেশি আনন্দ
দেয় ।কারন তুমি চুপ করে বসে থাকলে তোমার মন আরও বেশি রকম ভাবে বাজে চিন্তাতে আচ্ছন্ন হয়ে যাবে, তাই নিজের মন কে
অন্য দিকে দেওয়ার চেশটা করতে হবে। তাই নিজেকে অন্য কোনও ভাল কাজে বাস্ত করে ফেল। যাতে
তুমি ওই খারাপ ঘটনা নিয়ে চিন্তা করার টাইম না পাও।
৫) লোকের কথায় কান না দিয়ে তোমার যেটা মনে হচ্ছে সেটা কর à
লোকে
অনেক কথা বলে থাকে ,যা তোমাকে খুব কষ্ট দেয়।তাই লোকের কথাএ কান দিয়ো না , নিজের জন্য
যেটা ঠিক মনে হয় সেটা কর।কারন এটা তোমার জীবন , তুমি ভাল বুঝবে তোমার জন্য কি ঠিক
, এখানে অন্য কেউ সেটা তোমাকে বলে দিতে পারে না।হাঁ , তার মানে এই না যে তুমি গুরুজনদের
কথা অমান্য করবে। প্রথমে গুরুজনেরা যে কথাটা বলছেন তোমাকে সেটা নিয়ে ভাবতে হবে , যে
সেটা তোমার ক্ষেত্রে কতটা ঠিক , তার পর কোনও সিদ্ধান্ত নিও।এখানে লোক বলতে গুরুজনরা
বাদে যারা তোমাকে কিছু বলে তাদের কথা বলা হয়েছে। আর সচরাচর এমনটা আমাদের সাথে ঘটেই
থাকে । যে আমরা বাইরের লোক এর কথায় কান দি এবং নিজেরা ভেঙে পড়ি। তারা তোমাকে পুরো চেনে
না , জানে না তোমার quality অথবা তারা তোমাকে ভয় পেয়েছে তাই তোমাকে মানসিক ভাবে ভেঙে
দিয়ে তোমার থেকে ওপরে ওঠাই তাদের উদ্দেশ্য …।।এইজন্যই বলাহচ্ছে তোমার থেকে ভাল তোমাকে
কেউ চেনে না বা বঝে না ,সবার কথার আক্রমন থেকে নিজেকে বের করে আনাই হল তোমার লক্ষ্য।
তার মানে এটাও না যে তুমি জনে জনে সবাইকে নিজের সত্যতার প্রমান দিতে যাবে, কোনও দরকার
নেই। সত্যতার প্রমান হয় না তুমি তোমার কাজ-র মাধ্যমে সেটা দেখিয়ে দাও। আর যে তোমাকে
বিশ্বাস করবে তাকে প্রমান দেওয়ার দরকার হয় না , যে ভাববে তোমাকে বিশ্বাস করবে না শত
প্রমান দিলেও সে তোমাকে ভুল বুঝবে।তাই এসবে সময় নষ্ট না করে ,নিজের দিকে নজর দাও যে
কিভাবে তুমি জিবনে আরও উন্নতি করতে পারবে। সেটাই বুদ্ধিমত্তার পরিচয়।
৬) গান শোনো,
বাইরে থেকে ঘুরে আস, ভাল ভাল খাওার খাও, তোমার Hobby কে টাইম দাও à
যখন
আমাদের মন খারাপ হয় তখন তোমার মধ্যে sad hormone ক্ষরিত হয় , তাই আমরা আরও দুখী হয়ে
পড়ি, সেই পরিস্থিতি থেকে বের হয়ার জন্য গান
শোন , কথাও ঘুরতে যাও , ভাল ভাল খাওার খাও, তোমার
hobby কে টাইম দাও ।তাহলে দেখবে happy hormone ক্ষরণ হওয়া শুরু হবে
এবং তুমি নিজে আগের থেকে অনেক বেশি খুশি থাকতে শুরু করবে।
৭) বই পর, সমস্যা
কে ডায়েরি তে লিখে ফেল , বন্ধুদের সাথে কথা বল à
তুমি যে কারনে মন খারাপ করে আছো সেটা তোমার ডায়েরি তে লিখে ফেল।দেখবে অনেকটা হাল্কা লাগবে।আসলে আমরা যখন কোনও কিছুতে কষ্ট পাই সেটা কারোর সাথে ভাগ করলে মনটা ঠিক হয়ে যায়। তাই তোমার সমস্যাটা তুমি তোমার কাছের জন কে বল অথবা যদি মনে করো যে তুমি কারোর সাথে সমস্যা ভাগ করতে চাওনা তাহলে সেটা কে লিখে ফেল । এই পদ্ধতিটা সত্যি তোমাকে মানসিক দিক দিয়ে শান্তি দেবে।
উপরিউক্ত কথা গুলকে মেনে চললে
সত্যি তুমি নিজেকে খারাপ পরিস্থিতি থেকে খুব সহজে বের করে আনতে পারবে। আমরা হলাম জগতের
সরব শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ, সমস্যা আমাদের জিবনে আসবেই যে রুপ নিয়েই হোক আর যখনি হোক, তবে উল্লিখিত Point গুলো আমাদের অস্ত্র সেই সমস্যাকে
জয় করে বেরিয়ে আসার।
আশা করব এই কথা গুলো মানলে নিজেকে খারাপ সময়ের মধ্যও Positive রাখতে পারবে। লেখাটা ভাল লাগলে তোমার ভাই, বোন , বন্ধু, আপনজন দের সাথে Share করো, Comment করো , হয়ত তাদের মধ্যে কারোর জন্য খুবই ফলপ্রসূ হবে এই লেখাটা । আমার লেখা তখনি সার্থক হয়ে উঠবে । ধন্যবাদ….।।
Author: Saheli Chakraborty |
Great 👌
ReplyDeleteton of thanks
DeleteExcellent writing dear... keep going 😊❤️
ReplyDeleteTake lots of love..each and every point very very true 🤗🥰
Thnq 😍❤️ sweethrt...love u 2 my dear❤️... Just apply in yur lyf and keep ☺ smiling
Delete