জেনারেশন গ্যাপ
Credit: |
আমরা অনেক সময় দেখেছি যে আমাদের থেকে
যারা বয়সে বড় তাদের চিন্তাধারা র সাথে আমাদের চিন্তাধারার মিল থাকে না অথবা আমাদের
থেকে বয়সে যারা অনেকটা ছোটও তাদের ভাবধারাও আমাদের থেকে অনেকটা আলাদা। এটা আসলে কিছুই
না ,just একটা জেনারেশন গ্যাপ। এটা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার।
জেনারেশন গ্যাপ এর জন্য সাধারণত আমাদের
সাথে বড়োদের মতপার্থক্য হয়েই থাকে। পরিস্থিতি বিশেষ এ চিন্তাধারা ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।
এছাড়া কোনও কাজ করার ক্ষেত্রে ভাবনা পার্থক্য , কোনও পদক্ষেপ নেওয়া অথবা কোনও নতুন
কিছুর প্রতি উৎসাহগত দিক দিয়ে নানারকম পার্থক্য দেখা যায়।
জেনারেশন গ্যাপ এর কয়েকটা ভাগ আমরা খুজে
পাই ,যেগুলো হল
১) Traditionalists
or Silent Generation ঃ ১৯৪৫ এর আগে যারা জন্মেছে
২) Baby
Boomers ঃ ১৯৪৬ থেকে ১৯৬৪ সাল
৩) Generation
X ঃ ১৯৬৫ থেকে ১৯৭৬সাল
৪) Millennials
or Gen Y ঃ ১৯৭৭ থেকে ১৯৯৫ সাল
৫) Generation
Z or iGen or Centennials ঃ ১৯৯৬ থেকে বর্তমান সময় অবধি
এই জেনারেশন গ্যাপ এর কারণটা কি জেনে নেওয়া
যাক,
১)
শিক্ষাগত দিক দিয়ে পরিবর্তন
২)
আমাদের পারিপার্শ্বিক পরিবেশ র দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাওয়া
নিম্নে
কারণগুলি বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হল ঃ
১) শিক্ষাগত দিক দিয়ে পরিবর্তন
১৮০০ খ্রিষ্ট অব্দের দিকে পরিবেশের
উন্নতির গতিধারা খুব ধীর ছিল। তাই তখন মোটামুটি ভাবে দুটো কি তিনটে জেনারেশন ছিল। আর
তাদের মধ্যে বেশির ভাগটাই মিল ছিল।দেখতে গেলে তেমন কোনও বিশেষ পার্থক্য নজরে আসত না।কিন্তু
একবিংশ শতাব্দী তে technological এবং social এই দুটো দিক দিয়ে আমাদের সমাজ খুব দ্রুত
উন্নতি লাভ করেছে এবং এখনও উন্নতি করে চলছে। সেই কারনেই একটা জেনারেশন গত পার্থক্য
এত বিপুল পরিমানে নজরে পড়ছে। এমনকি একটি জেনারেশন র মধ্যেও জীবনশৈলির পার্থক্য লক্ষ্য
করা যাচ্ছে।
একবার
ভেবে দেখ জেনেরেশন গ্যাপ এর জন্য আজকের ছেলে মেয়েরা তাদের বড়দের technology র ব্যবহার
শেখাচ্ছে। এমন বহু মানুষ আছেন যারা এই সব technology র ব্যবহার বুঝতে পারছেন না , বর্তমানে তারা কত
সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এছাড়াও এখন দেখা যায় যে এই যুগএর ছেলেমেয়েরা public
transport এ chatting এ ব্যাস্ত সেখানে একজন
বৃদ্ধ বই পড়তে ব্যাস্ত। এই ভাবেই জেনারাশন গ্যাপ গুল আমাদের বেশি করে নজরে পরে।
Credit: |
২) আমাদের
পারিপার্শ্বিক পরিবেশের দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাওয়া
আগেকারদিনে মানুষ নিজের জায়গা
তে বা নিজের বাড়ীর কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করতো। বেশি কারোর সাথে যোগাযোগ তেমন একটা ছিলনা
বললেই চলে। নিজের culture ছাড়া অন্য কোনও culture এর বিষয়ে জানার আগ্রহ ছিল না। কিন্তু
এখন technology র আগমন ঘটায় মানুষ দেশে বিদেশে ছুটছে, গোটা পৃথিবী র সাথে যোগাযোগ করছে,
একে অপরের culture সমন্ধে আলোচনা করছে। Mobile phone আশায় দূরের মানুষ র সাথে যোগাযোগ
করা খুবই সহজ ব্যাপার হয়ে গেছে।এছাড়া youtube ,social media এসব র মাধ্যমে এখনকার জেনেরেশন
নতুন culture কে গ্রহন করছে। পাশ্চাত্য শিক্ষা গ্রহনের মাধ্যমে দেশীয় culture কে দূরে
সরিয়ে দিচ্ছে। ফলত এভাবেই ভিন্ন ভিন্ন জেনারেশনএর উৎপত্তি ঘটছে। বর্তমানে মানুষের আয়ু
অনেক বেড়ে গেছে , তাই জেনারেশন গ্যাপও লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
জেনারাশন গ্যাপ বিশেষ ভাবে প্রভাব ফেলছে পারিবারিক সম্বন্ধের ওপর। বাড়ীর ছোটোরা বর্তমান পরিস্থিতির সাথে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছে এবং mobile phone , fast charging, social media , gaming ইত্যাদির সাথে অভ্স্থ , সেখানে দাড়িয়ে বাড়ীর বড়োরা এসবে সড়গড় নয় । তাই এই টুকি টাকি নিয়ে ঝামেলা লেগেই থাকে।তাতে নিজেদের মধ্য relation খারাপ হয়।
দুটি জেনারাশন র মধ্য
misunderstanding লেগেই থাকে।সবাই ভাবে যে সে ঠিক । অবশ্যই ঠিক। কারণ সে যে পরিবেশ
পেয়ে বড় হয়েছে ,যে পরিবেশে সে অভস্থ সেইভাবেই সে বেড়ে উঠতে শিখেছে।
জেনারেশন গ্যাপ তো বজায় থাকবেই , আমাদের তার মধ্যে সব মানিয়ে চলতে হবে ।বড়োদের সম্মান করতে হবে তাদের কথাও মেনে চলতে হবে আর ছোটদের স্নেহ করতে হবে এবং তাদের কথারও গুরুত্ব দিতে হবে । সবাইকে সবার সহযোগিতা করতে হবে , কোনও কিছু বলার আগে বা করার আগে সবার কথা ভেবে করতে হবে । তাহলে এই জেনারেশন গ্যাপ আমাদের পারিবারিক কোনও সম্পর্ককে খারাপ করতে পারবে না।
No comments: